জম্মানোর সময় গায়ের রং কালো হওয়ার কারনে মা আদর করে নাম রেখে ছিল কালা মিয়া। তার আরও একটা সমস্যা হল মাথায় বুদ্ধি কম। তবে সহজ সরল হওয়ার কারনে তার মনটা খুব নরম। বাবা মার একমাত্র সন্তান। অতি আদর আর সব সময় চোখে চোখে রাখা কাল হয়ে তাকে হাবা গোবায় পরিনত করেছে। সে যাইহোক কালা মিয়া একদিন বাজারে যাচ্ছে, রাস্তার মাঝখানে তার পেটে মোচড় দিল। সে তাড়া তাড়ি করে একটা ঝুপের আড়ালে গিয়ে বসে পড়লো। সে যেখানে বসেছিল সেখানে ছিল বড়ই গাছ। তার কাজ প্রায় শেষ এমন সময় উপর থেকে তার সামনে পড়লো একটা পাকা বড়ই। সে বড় বাইরে করা অবস্থায় বড়ইটা খেয়ে ফেলল। খাওয়ার পর তার মনে হল একি করলাম কেউ দেখলে তো লজ্জায় মাথা কাটা যেত। সে এদিক ওদিক ওকি দিয়ে সেখান থেকে বের হয়ে পাশের নালায় পরিস্কার হয়ে বাজারের দিকে পা বাড়ালো। বাজারে গিয়ে দেখে বাজারে এক কোনায় বটগাছের নিচে অনেক লোকের ভিড়। সেখানে এক বাউল গান গাইছে। কালা মিয়া সেখানে গিয়ে দাড়াতেই বাউল গান ধরলো, কালা তোর গোপন কথা কইয়া দিমু-----। কালা চমকে গেল। মনে মনে ভাবলো সে আমার গোপন কথা জানলো কেমনে! সে তাড়া তাড়ি বাউলকে বলল, না না বাউল ভাই বলোনা বলোনা আমি তোমাকে আমার সঙ্গে আনা সব টাকা দিয়ে দিচ্ছি। বাউল টাকা পেয়ে আরও মজায় পড়ে গেল। সে আবার উচ্চস্বরে বলে উঠলো, কালা তোর গোপন কথা কইয়া দিমু-----। এবার কালা মিয়া আরও উতালা হয়ে বলল, বলোনা ভাই। এত লোক জানলে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাবে। তোমাকে আমার গায়ের শার্ট পর্যন্ত দিয়ে দিলাম তবুও বলোনা ভাই। বাউল কালা মিয়াকে নিয়ে মজা করার নেশায় পেয়ে বসলো। সে আবার রঙ্গ করে বলে উঠলো, কালা তোর গোপন কথা কইয়া দিমু। এবার কালা মিয়া তার নিজের দিকে তাকালো। দেখলো তার গায়ে লুঙ্গিটা ছাড়া আর কিছু নেই। লুঙ্গি দিয়ে দিলে তো আরও লজ্জার কথা। ছিঃ ছিঃ----। এবার তার রাগ ধরে গেল। সে ভুলে গেল লজ্জার কথা। সে চিংকার করে বলে উঠলো কি বলবিরে হারামী পায়খানা করতে বসে পাকা বড়ই খাইছি, এই কথাই তো বলবি!
0 Comments