পাহাড়ের কোলে নির্জন এক গ্রাম—বাঁশখালি। গ্রামের শেষ মাথায় ধূসর পাথরের এক পুরনো দালান, নাম \"ছায়া বাড়ি\"। কেউ সেখানে থাকে না, অথচ রাতে জানালায় আলো জ্বলে, ছায়া নড়ে। গ্রামের লোকেরা বলে, ওখানে নাকি অদ্ভুত কিছু ঘটে।রহস্যপ্রিয় কলেজপড়ুয়া রাহাত গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসে এই বাড়ির গল্প শুনে কৌতূহলী হয়ে পড়ে। সে ঠিক করে—সব কাহিনির মূলে পৌঁছাতে হবে।একদিন গভীর রাতে, টর্চ আর ক্যামেরা নিয়ে সে একাই ছায়া বাড়ির দিকে পা বাড়ায়। দরজা খোলা। চারদিক ঠাণ্ডা, হাওয়ার শব্দে কাঠের দরজা হালকা দুলছে।হঠাৎ...একটা টেবিলের ওপর রাখা পুরনো খামে তার চোখ পড়ে। খামের গায়ে লেখা, \"যে আমার মৃত্যু চায়, সে এখানেই ফাঁদে পড়বে\"।রাহাত শিউরে উঠে। কিন্তু পেছনে ফিরতেও চায় না। খাম খুলে দেখে—একটি পুরনো ডায়েরি। ডায়েরিতে লেখা এক বিত্তশালী জমিদারের কাহিনি, যিনি এই বাড়ির মালিক ছিলেন। তিনি তাঁর বিশ্বাসঘাতক ভাইয়ের হাতে খুন হন। কিন্তু মৃত্যুর আগে বাড়ির কোথাও গুপ্তধন রেখে যান—একটি মানচিত্রসহ।রাহাত বুঝতে পারে, এই রহস্যের গভীরে লোভ, প্রতারণা ও খুন জড়িয়ে আছে।ঠিক তখনই পেছন থেকে কারো নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে সে ঘুরে দাঁড়ায়...একজন বৃদ্ধ—কান ছাপানো সাদা চুল, গলায় তাবিজ।তিনি ফিসফিস করে বলেন, “তুই আমার ভাইয়ের বংশধর না? ওর রক্তেই লুকানো আছে চাবি!”রাহাত দৌড়ে বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু তার হাত থেকে ডায়েরিটি পড়ে যায়। বৃদ্ধ তা তুলে নিয়ে মৃদু হাসে।পরদিন রাহাত জেগে উঠে দেখে, পুরো ছায়া বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ডায়েরি? মানচিত্র? বৃদ্ধ?সব মিলিয়ে যেন এক ধোঁয়াশা!কেউ বিশ্বাস করে না তার কথা, তবে রাহাত জানে—গল্পটা এখনও শেষ হয়নি!
0 Comments