ঢাকার ধানমণ্ডির এক অভিজাত ফ্ল্যাটে নিশির রাতগুলো কেটে যায় একাকীত্বে। সংসার হয়নি, প্রেমিক বদলেছে বারবার। কিন্তু কারো মধ্যে সে খুঁজে পায়নি ভালোবাসার সেই পরিপূর্ণতা।সেদিন সন্ধ্যায়, এক পুরাতন বন্ধুর দাওয়াতে গিয়ে দেখা হয় রাজিবের সঙ্গে—একটা চৌকস, তীক্ষ্ণচোখের মানুষ, যিনি কথার জালে আবদ্ধ করতে জানে।\"তুমি এখনো একা?\"নিশি এক গাল হেসে বলেছিল, \"একা থাকা শিখে গেছি, তবু কিছু রাত বড় নিষিদ্ধ লাগে।\"রাজিব সেই রাতে তাকে শুধু বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ফিরে যায়নি। চোখে চোখে একটা আগুন ছিল, দু’জনেই টের পেয়েছিল।পরের দিন রাতে নিশির ড্রয়িংরুমে রাজিব।বাতি নেভানো, শুধু টেবিল ল্যাম্পের নরম আলো।রাজিব বলল, “আমি তোমায় ছুঁতে চাই, যদি তুমি চাও।”নিশির ঠোঁটে ধরা পড়ে এক অভিমন্ত্রিত চাহনি, “তবে এসো...”তারপর শুরু হয় শরীর আর মনের এক অসীম মিলন। দীর্ঘ দিনের তৃষ্ণা যেন একে অপরের ভেতর মিশে যায়। নিশি হঠাৎ থেমে বলে,“এটা শুধু শরীর নয় রাজিব, আমি তোমায় চাই... পুরোটাই।”রাজিব উত্তরে বলে, “আমি এসেছি তোমার সবটুকু নিতে, আর তোমাকে আমার করে দিতে।”রাত গভীর হয়, তারা একে অন্যের বাহুতে হারিয়ে যায়।এই নিষিদ্ধ রাতটাই হয়ে ওঠে তাদের সম্পর্কের শুরু।সকালে তারা কফির কাপে ঠোঁট ছুঁইয়ে হাসে।নিশি বুঝে যায়, কারও ছোঁয়া যদি ভালোবাসার মতো লাগে—তবে তা আর নিষিদ্ধ নয়, সেটা অধিকার।
0 Comments