

তারাগঞ্জের দিগন্ত ছুঁয়ে থাকা ধানক্ষেত, কোচনধরার শালবন আর কানিলের দীঘি ঘেরা চত্বরে এক অপূর্ব সৌন্দর্য গাঁথা ছিল এক সময়। এই অঞ্চলেরই প্রাণকেন্দ্র ছিল তাজপুর। তাজপুরের দুই চেহারা—একপাশে ধনবান হিন্দু পাড়া, দেববাড়ি, দত্ত বাড়ি, দাসপাড়া, আর অন্যপাশে মুসলিম পল্লী—মাটির ঘরে ঘেরা সহজ-সরল মানুষের জীবন।দামবাড়ির মেয়ে মুক্তি যেন নামের মতোই উজ্জ্বল। প্রতিমার মত গড়ন, চোখে যেন দীপ্তি ছড়িয়ে থাকে। তার চলার মধ্যে ছিল অহংকার নয়, বরং জন্মসূত্রে পাওয়া সৌন্দর্যের মাধুর্য। মুক্তিকে দেখলে কারোই চোখ ফেরাতে মন চাইতো না।আর মুসলিম পাড়ার কৃষক পরিবারের ছেলে সুরুজ—শান্ত, কর্মঠ, গম্ভীর। কাজের ফাঁকে যখন মুক্তিকে দেখে মাঠের আইলে হাঁটতে, তখন তার বুক কাঁপে, কিন্তু ঠোঁট খুলে কিছু বলে না। শুধু মনে মনে ভালোবাসে।
0 Comments