

রায়পাড়া গ্রামের মেয়েরা বেশি দূর পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগ পায় না। তাদের পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা ও বিভিন্ন সামাজিক অসুবিধার কারণে অনেকের বিয়ে হয়ে যায়। অনেক মেয়ে আবার জীবিকার তাগিদে ঢাকা শহরে বাস করে।রায়পাড়া গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুল থাকলেও হাইস্কুল নেই। হাইস্কুল পড়ার জন্য সাত কিলোমিটার যেতে হয়। এত দূর পথের যাতায়াত খরচ ও পড়াশোনার ভার চালিয়ে যাওয়ার মতো অনেক পরিবারের সামর্থ্য হয় না।রায়পাড়া গ্রামের সুধীর রায়ের মেয়ে আশালতা রায় পড়াশোনায় বেশ ভালো ছাত্রী। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে \"এ প্লাস\" পেয়েছিল। আশালতা বর্তমানে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তাদের স্কুলে একজন ভূগোলের শিক্ষক নিয়োগ হয়। ভূগোলের শিক্ষকের নাম জহির।জহির একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। সে অবিবাহিত। বিয়ের জন্য পরিবার থেকে পাত্রী দেখা শুরু করেছে। জহিরের বয়স ঊনত্রিশ বছর। জহির কিছু দিনের মধ্যে স্কুলের সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় শিক্ষক হয়ে ওঠে। যদিও সে ভূগোলের শিক্ষক, কিন্তু ইংরেজি ও গণিতে খুব ভালো দক্ষতা রয়েছে। জহির স্কুলে টিউশনিও শুরু করে।জহির আশালতার স্মৃতিশক্তি ও হাতের লেখায় খুব মুগ্ধ হয়। এভাবে ক্রমাগত এক বছর হয়। আশালতা যখন দশম শ্রেণীতে পড়ে তখন জহির আশালতাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আশালতা প্রথমে ধর্মীয় কারণে প্রেম প্রত্যাখ্যান করলেও পরবর্তীতে রাজি হয়। জহির আশালতাকে বিশেষ যত্ন করে। আশালতা এবারও দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় \"এ প্লাস\" পায়।সুধীর রায় তার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র দেখতে শুরু করে এবং স্থানীয় ঘটকেরা প্রায়ই সুধীর রায়ের বাড়িতে পাত্র নিয়ে আসে।
0 Comments