গৃহযুদ্ধ ও ক্ষমতার লোভের কারণে শহর এবং মানুষের অন্তর ভাঙে। কবিতা “ক্ষত” তুলে ধরে বিভেদের আগুন, নীরব আতঙ্ক, ভাঙা বিশ্বাস এবং ক্ষতভরা স্মৃতির গভীর প্রতিফলন। প্রতিটি লাইনই মানুষের যন্ত্রণার ও সমাজের অরাজকতার ছবি ফুটিয়ে তোলে।
ক্ষত: গৃহযুদ্ধ ও মানুষের মানসিক ক্ষত
ক্ষত ✍️ লেখক: তুষার রাষ্ট্রের নীতিভ্রষ্টতায় যখন জনবিশ্বাস ভাঙতে শুরু করে, আইনের দৃঢ় কণ্ঠ দুর্বল হয়ে পড়ে ক্ষমতার প্রভাবে, নাগরিক জীবনে জন্ম নেয় শঙ্কার নীরব অস্থিরতা, রাত্রি নামলে শহর ঢাকে অদ্ভুত আতঙ্কের ছায়া। বিতর্কের উত্তাপ ভাষাকে বানায় বিভেদের ধারালো অস্ত্র, সমঝোতার সেতু ভাঙে ক্ষোভ আর বিদ্বেষের আগুনে, বন্ধুত্বে জন্ম নেয় সন্দেহের কুঁড়ি, দ্রুত বিষে ফোটে, পরিচিত মুখেও লাগে শত্রু হওয়ার ভয়াল রঙ। ক্ষমতার অন্ধ লোভ দেশকে টেনে নেয় অরাজক রাতে, জনতার কণ্ঠ দমে যায় দমন আর নজরদারিতে, একই ঘরে থেকেও দূরত্ব বাড়ে নিঃশব্দ অবিশ্বাসে, স্বজন হয়ে ওঠে বিপরীত শিবিরের অচেনা মানুষ। শহরের বাতাস দগ্ধ বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে যায়, রক্তের দাগ দেখে শিশুরা শেখে ভয়কে ন্যায় ভাবতে, দুঃস্বপ্নের মতো ভেসে ওঠে লুণ্ঠন আর আর্তচিৎকার, রাত্রি হয়ে ওঠে কবরের থেকেও ঠান্ডা নির্জন। যুদ্ধ থামলেও মানুষের অন্তরের ক্ষত শুকায় না কখনো, স্মৃতির গহ্বরে জমে থাকে অপমান আর অনুতাপ, দেয়াল রং পায়, রাস্তা নতুন হয়, শহর ফের জাগে, কিন্তু ভাঙা আত্মা জোড়া দেওয়ার পাঠ কেউ জানায় না।
            
                                
0 Comments